ঋক অমৃত-র তিনটি কবিতা
ঋক অমৃত
একটি নিমতলা রাত
থমথমে নয়,
কেবল গাছের পাতার অফবিট রোদন,
আর নিছক সাহিত্যের সাথে সারাদিন
জোচ্চুরির পর ত্রিপল আর মাদুরটা ঘুমিয়ে পড়েছে।
শেষ চক্ররেল কখন পেরিয়ে গেছে জানিনা
এখন সে লাইনেই আমি
ফ্লুরোসেন্ট হলুদ ও রেশমবৃত্তের সাথে সঙ্গমে মেতেছি।
এই খরস্রোতা স্বপ্ন প্রথম দেখা
কোনো এক সিনেমায়
আজ নায়কের চেনা নাম মনে পড়লে
আঁতকে উঠি।
বিসর্জনের রাত!
ঘাটে তখন, ‘আসছে বছর আবার হবে’,
শ্মশানে তখন দুটো চিতা;
আমিও দুটো কাগজ সেই আগুনে নিভিয়ে এলাম!
তুই যদি আজ আমার প্রেমিকা হতি’
রাই, তোকে নির্ঘাত চুমু খেতাম
আর এই সবুজ ঠোঁটে
তুই রক্তের স্বাদ পেতি।
ভাষা অর্ধেক হয়ে আসে
হাত থেকে গড়িয়ে পড়ে পুরনো জল, প্লেক্ট্রাম
যে টেন্টের গায়ে এতক্ষণ হেলান দিয়েছিলাম
সে ঘরের মালকিন আমাকে জীবন ছুঁড়ে মেরেছে।
জীবন,
আত্মমৈথুনের সময় ভাবতে ভাবতে
আমি এভাবেই তোমার প্রেমে পড়েছি...
নিরুত্তর
এই বিপন্ন সহবাসের কোনো
অহংকার নেই, তৃপ্তি নেই
তবু আরও দু’-চার পিস মাংসের জন্য
বেয়ারার দিকে থালা বাড়িয়ে দেয়া
সমাজ তো সেই একটা সার্কাস,
তারের উপর দিয়ে হাঁটা।
পা হড়কালেই মৃত্যু
এই লোভ সামলে রোজ খেলা দেখানো...
পুরনো আগাছা সরিয়ে
তুমি নতুন চারা লাগাও
আমি
টবের যে গাছটা নেতিয়ে পড়েছে মাটিতে
তার প্রকৃত আশ্রয়ের প্রশ্নে
নিরুত্তর থাকি!
অগোছালো বারান্দা
কতকগুলো গুছিয়ে রাখা তাক
কথা দিয়ে সাজানো
তার চেয়েও বেশি গল্প বলে
অগোছালো বারান্দা
সংসার আসলে একটা পেটের নাম
দুটো কান্নার মাঝে
দু’চোখের কোণে লেগে থাকা পিঁচুটি ...
আর তোমার নিরুদ্দেশ হতে চাওয়া।
বস্তুত হারিয়ে যাওয়া বলে কিচ্ছু নেই
আমরা সব্বাই যে যার ভাবনাতেই নদী।
আমি জীবনের কাছে ঘটনা চেয়ে ক্লান্ত
তোমার তো তবু স্মৃতি আছে!
Post a Comment