১১ ডিসেম্বর ২০১০: অংকুর সাহা



১১ ডিসেম্বর , ২০১০


চতুর্থ বছরে ঝেঁপে        বঙ্গ কবিতাকে মেপে
ভারাক্রান্ত মনে বিড়ি ফুঁকি;
মরুভূমি, ধু-ধু বালি       কাঁটাগাছ, শ্রান্ত গালি
নত মস্তকেই ঘরে ঢুকি।

ঊর্ধ্বাঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাজ     সুরম্য ডিকোলাটাজ
পথে নামে নগরনটীরা;
একটি দুটি তারা ফোটে   অর্ধদগ্ধ চাঁদ ওঠে
তরুণ কবির ছিন্ন শিরা।

সঙ্গমে আবিষ্ট তনু        দশ কোটি শুক্র অণু
ভাসে অ্যামনিওটিক জলে
সে নারী নিঃশব্দে হাঁটে    বাথরুমে দরজা আঁটে
পুরুষটি নিদ্রার অতলে।

রাজশাহী মেদনীপুর       গরল অনলে চুর
খুলনা আগরতলা ঢাকা;
পুরুলিয়া বর্ধমান         ফরিদপুর চট্টগ্রাম
এক ডাকে ফিরে এসো চাকা।

নন্দীগ্রাম রক্তে ভাসে      বারুদগন্ধ বাতাসে
জঙ্গলমহল অগ্নিকথা;
রাজনীতির পদক্ষেপে     কবিরা দক্ষিণে চেপে
ঝাপটায় ধ্বনিময় লতা।

বিজ্ঞানমনস্ক মনে        নিভৃতে ও সঙ্গোপনে
কবিতার জালবুনে খেলা;
নিঃসঙ্গ নক্ষত্র দেখে      মুগ্ধতা শরীরে মেখে
ডানাহীন তপ্ত অবেলায়

 নীলিমা নিবিড় দুঃখ       মূক মর্যাদায় মুখ্য
বিষণ্ণ বাতাসে প্ররোচনা;
চেনা ও অচেনা মত      প্রেম দ্বিধা শংকা ক্ষত
বঙ্গে ইয়াসনায়া পলিয়্যানা।

ঘুমিয়ে পড়ার আগে       দীর্ঘস্থায়ী অনুরাগে
মৃদু জোছনায় ঘরে ফিরে;
মদিরা-সিঞ্চিত ভোরে      সাংগীতিক মশা ওড়ে
বৃত্তাকার ছিদ্রপথ ঘিরে।

ভালাবাসা যদি থাকে      উগ্র উল্লাসের ফাঁকে
স্থূল, মনোলোভা, অর্থহীন;
নিরাসক্ত ফুল ফোটে      এলোকেশী চাঁদ ওঠে
প্রকাশের অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষীণ।

প্রৌঢ় বয়েসের জোসে     ঘুমঘোরে স্বপ্নদোষে
অন্তিমে উচ্ছ্রিত পুরুষাঙ্গ;
উত্তরে বাতাস বয়        অংকুর ভণিতাময়
বিনয়মঙ্গল করে সাঙ্গ।


No comments

Powered by Blogger.