জিনপুরঃ পল্লব ভট্টাচার্য
পল্লব ভট্টাচার্য
জিনপুর
স্মৃতির
প্রদেশ থেকে বিতাড়িত,
শেষতম
মায়ার মানুষ ,
জীর্ণ
অভিজ্ঞতাগুলো সেলাই
করছেন
আর ভাবছেন
জিনপুর
তার দেশের নাম , জিনপুর তার ...
নিঃসঙ্গ
,
কেউ তাকে চিঠিও লেখে না ।
অনিশ্চিত
উইলোর ডাকঘর থেকে
ছায়ার
সমস্ত চিঠি লুঠ করে নিয়ে ,
আলো
তখন হরকরা গগনের ঠেকে
একটু
একটু গলা ভিজিয়ে নিচ্ছে ,
কান্ট্রি
লিকারে
আর
ভাঙা গিটারটি তছনছ করে কর্নেল গাইছে ,-
আমায়
আশ্চর্য কিছু দিয়ে যাও ,
নোকিয়াতাড়িত
ঘুঘু
যেন
অর্থহীনতার সসে অবাধ ডুবিয়ে
জনঅধ্যুষিত
এই বিঙ্গো সন্ধ্যাটি
তুলে
নিতে পারি...
ডিনার
টেবিল থেকে সরে যায় ডিস ,
স্যূপের
বাটিতে ডোবে টুপ অন্ধকার
প্লাবনের
মতো গড়িয়ে গড়িয়ে
আসে
জল ঝোল অশ্রু বীর্য লালা মনখারাপ
তবে
,
কী আশ্চর্য ?- এই প্রশ্নে
চারিদিক
অন্ধকার করে
তত্ববৃক্ষের
ডালে বসে আছে ব্যাঙমা পাখিটি ।
….
যে ভুলের অপরাধবোধ নেই, সেই
ভুল কঞ্চিখানি দিয়ে
কর্নেল আঁকছে
এক বিচ্ছেদের মানচিত্র ,
বালির উপর ।
জিনপুর ধুয়ে যায় জলে...
….
পাতায় পাতায় আজও পত্রবিনিময়
আছে , ধরে নিয়ে , আমলকি বনে
শিকারী ও নভোহরিণীর ছায়া ,
যেভাবে মিলিত হয়ে বারবার
সরে যায় , তেমন আশ্চর্য দুই
আকাবাঁকা কাটাকুটি খেলে যাওয়া পথে
কখনও হরিণ আর কখনও হরিণী
হয়ে যেতে হবে
জিনপুর বিষাদ নিলয়ে ।
এইসব দিশা ও সঙ্কেত এঁকে ,
রঙচটা টুপি দিয়ে ঢেকে
কর্নেল আচ্ছন্নমতি , নোনা ধরা ,
ধ্বসে যাওয়া ; সমুদ্রসন্ত্রাসে
বিছিয়ে রেখেছে তার আধভাঙা গিটারটি
মহাকাশ জুড়ে ...
….
আলো লিখছে অন্ধকার , কালো
লিখছে ভালো , পরীক্ষা খাতায়
শৃঙ্খলারহিত সব , বালিকা বদ্বীপ
ছেড়ে ; উড়ে উড়ে যায় ।
ডুবু ডুবু চিঠি সব ধরে রাখো । মাথা
বেয়ে আকাশের জল
গড়িয়ে নামছে বুকে , ভেজা ভেজা
রক্তজলে কর্নেল পাগল ।
….
রক্তজলে ভেসে আসা ; সেই ভেলা ,
অহংতাড়িত
পচে যাওয়া , কঞ্চি-প্রমাণ ।
সমুদ্রস্খলন দেখে স্তব্ধ হতবাক ,
সমস্ত কথাই আজ মৃত ,
ধুয়ে যাওয়া বালির নির্মাণ ।
তবু প্রতিদিন , ও চাঁদ মাথায় রেখে
যখন জোয়ার
জিনপুর
স্মৃতির
প্রদেশ থেকে বিতাড়িত,
শেষতম
মায়ার মানুষ ,
জীর্ণ
অভিজ্ঞতাগুলো সেলাই
করছেন
আর ভাবছেন
জিনপুর
তার দেশের নাম , জিনপুর তার ...
নিঃসঙ্গ
,
কেউ তাকে চিঠিও লেখে না ।
অনিশ্চিত
উইলোর ডাকঘর থেকে
ছায়ার
সমস্ত চিঠি লুঠ করে নিয়ে ,
আলো
তখন হরকরা গগনের ঠেকে
একটু
একটু গলা ভিজিয়ে নিচ্ছে ,
কান্ট্রি
লিকারে
আর
ভাঙা গিটারটি তছনছ করে কর্নেল গাইছে ,-
আমায়
আশ্চর্য কিছু দিয়ে যাও ,
নোকিয়াতাড়িত
ঘুঘু
যেন
অর্থহীনতার সসে অবাধ ডুবিয়ে
জনঅধ্যুষিত
এই বিঙ্গো সন্ধ্যাটি
তুলে
নিতে পারি...
ডিনার
টেবিল থেকে সরে যায় ডিস ,
স্যূপের
বাটিতে ডোবে টুপ অন্ধকার
প্লাবনের
মতো গড়িয়ে গড়িয়ে
আসে
জল ঝোল অশ্রু বীর্য লালা মনখারাপ
তবে
,
কী আশ্চর্য ?- এই প্রশ্নে
চারিদিক
অন্ধকার করে
তত্ববৃক্ষের
ডালে বসে আছে ব্যাঙমা পাখিটি ।
….
যে ভুলের অপরাধবোধ নেই, সেই
ভুল কঞ্চিখানি দিয়ে
কর্নেল আঁকছে
এক বিচ্ছেদের মানচিত্র ,
বালির উপর ।
জিনপুর ধুয়ে যায় জলে...
….
পাতায় পাতায় আজও পত্রবিনিময়
আছে , ধরে নিয়ে , আমলকি বনে
শিকারী ও নভোহরিণীর ছায়া ,
যেভাবে মিলিত হয়ে বারবার
সরে যায় , তেমন আশ্চর্য দুই
আকাবাঁকা কাটাকুটি খেলে যাওয়া পথে
কখনও হরিণ আর কখনও হরিণী
হয়ে যেতে হবে
জিনপুর বিষাদ নিলয়ে ।
এইসব দিশা ও সঙ্কেত এঁকে ,
রঙচটা টুপি দিয়ে ঢেকে
কর্নেল আচ্ছন্নমতি , নোনা ধরা ,
ধ্বসে যাওয়া ; সমুদ্রসন্ত্রাসে
বিছিয়ে রেখেছে তার আধভাঙা গিটারটি
মহাকাশ জুড়ে ...
….
আলো লিখছে অন্ধকার , কালো
লিখছে ভালো , পরীক্ষা খাতায়
শৃঙ্খলারহিত সব , বালিকা বদ্বীপ
ছেড়ে ; উড়ে উড়ে যায় ।
ডুবু ডুবু চিঠি সব ধরে রাখো । মাথা
বেয়ে আকাশের জল
গড়িয়ে নামছে বুকে , ভেজা ভেজা
রক্তজলে কর্নেল পাগল ।
….
রক্তজলে ভেসে আসা ; সেই ভেলা ,
অহংতাড়িত
পচে যাওয়া , কঞ্চি-প্রমাণ ।
সমুদ্রস্খলন দেখে স্তব্ধ হতবাক ,
সমস্ত কথাই আজ মৃত ,
ধুয়ে যাওয়া বালির নির্মাণ ।
তবু প্রতিদিন , ও চাঁদ মাথায় রেখে
যখন জোয়ার
Post a Comment