ঊহিনী উড়ানঃ শ্যামসুন্দর মুখোপাধ্যায়
প্রজাপতি
আমার অসুস্থতার উপর এসে বসল একটি
রঙিন প্রজাপতি।
আমি তার হাত
দুটি চেপে ধরে সম্মতি দিলাম।
বললাম "বিষপান ছেড়ে দেব, রাত
জেগে লিখব না আর।"
অম্নি তার দেহ থেকে সব রঙ, পলেস্তারা
খসে গিয়ে পড়ে রইল প্রাণহীনবিবর্ণ সংসার।
সমাপতন
জনৈকা বৌদি অন্ধকার ছাদ থেকে আমাকে
দেখাচ্ছিলেন রাত্রির আকাশ।
তার নিঃশ্বাসের উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে মনে
হল একটি স্নিগ্ধ, ফরসা হাত যদি
এইভাবে অমোঘের দিকে প্রসারিত হত
তবে...
নীচে স্খলিত কালপুরুষের আর্ত চিৎকার
শোনা গেল
শিকারি কুকুরের চীৎকারে ছিঁড়েখুঁড়ে
যাচ্ছিল রাত্রির আকাশ।
তৃতীয় বিশ্বের গ্যাগারিন
আমরা তো আবহমান থেকে
চাচা হই ওর !
এবার পিলসুজ নয়,
এবার ফুটবল আনতে
আমরাই নামিয়েছি ওকে
কুয়োর ভিতর ...
আকাশে হাউই যায়,
আমাদের ছেলেটা যাচ্ছে উল্টোদিকে ,
ভূতলমুখীন --
আরোপিত অশথের ঝুঁটি
ধরে ছোটো ছোটো হাতে
পা রাখছে এইমাত্র
একরাশ থিকথিকে
কাচের উপর...
বিকেল কী নামে ডাকছে
ছেলেটাকে
গোকুল না তৃতীয়
বিশ্বের গ্যাগারিন ?
যে নামেই ডাকো ওকে,
ওই আমাদের শেষ তাস
বেলা দ্রুত পড়ে আসছে
...
জটলার কুয়োমুখে
সহসা আলোর দিকে
গোলকটি তুলে ধরছে
শহরের ছোট্ট
অ্যাটলাস ।
Post a Comment