দুটি অগ্রন্থিত কবিতাঃ অশোক দেব
অশোক দেব
অশ্বলোভ
এসেছি অশ্বমেলায় হ্রেষাধ্বনি বুকে নিয়ে
একলা মরুবিদেশে। অশ্বক্ষুরে জেগে ওঠে
অমায়িক যাত্রাচিহ্ন, ক্ষণে ক্ষণে, মনে মনে।
ঘোড়াদের রতিশক্তি, তাহাদের চিৎকারে
বালিয়াড়ি সরে যায়, ভুল হয় পূর্বাভাষে-
ঝড় আসার সময় গান ভেসে চলে আসে।
একলা মরুবিদেশে। অশ্বক্ষুরে জেগে ওঠে
অমায়িক যাত্রাচিহ্ন, ক্ষণে ক্ষণে, মনে মনে।
ঘোড়াদের রতিশক্তি, তাহাদের চিৎকারে
বালিয়াড়ি সরে যায়, ভুল হয় পূর্বাভাষে-
ঝড় আসার সময় গান ভেসে চলে আসে।
কিনতে এসেছি গতি, অশ্বক্ষুর আর জিন,
কিনব ঘোড়ার রাত্রি, কিনে নেব তার দিন...
কিনব ঘোড়ার রাত্রি, কিনে নেব তার দিন...
অশ্বলোভে বেঁচে আছি, ঘুরে দেখি অশ্বমেলা
স্থবির মরুদেশে হায় খেলি গতি-গতি খেলা
স্থবির মরুদেশে হায় খেলি গতি-গতি খেলা
সম্পর্ক
কে যেন আমার পিছে ঘুরঘুর করে
দিন হয় দীন আর রাত হয় বাসি,
তাকে আমি চিনি, কিংবা চিনি না তেমন-
পদশব্দে বোঝা যায় আমার অশ্বিনী।
দিন হয় দীন আর রাত হয় বাসি,
তাকে আমি চিনি, কিংবা চিনি না তেমন-
পদশব্দে বোঝা যায় আমার অশ্বিনী।
নিজেকে ভেবেছি অশ্ব, প্রাচীন, আরবি,
আসলে কামার আমি হাপরের সখা
আগুনের জুয়া খেলি হাতে রাখি শ্বাস
দিনশেষে কানে আসে পদশব্দ তার
আসলে কামার আমি হাপরের সখা
আগুনের জুয়া খেলি হাতে রাখি শ্বাস
দিনশেষে কানে আসে পদশব্দ তার
অশ্বিনীর চলাফেরা মনে মনে শুনি,
মনের পায়ের শব্দ মনে মনে গুনি
আগুনে পাঁজর পুড়ি, পোড়ে চমৎকার-
আমি তার গতিসখা, নাল-কর্মকার।
মনের পায়ের শব্দ মনে মনে গুনি
আগুনে পাঁজর পুড়ি, পোড়ে চমৎকার-
আমি তার গতিসখা, নাল-কর্মকার।
Post a Comment