অশোক দেব

অশোক দেবের কবিতা 




২০ এপ্রিল ২০১৬

আমি একজন চার্লস, চার্লস শোভরাজ।
ছনবনে থাকি, মায়াকোকেনের ব্যবসা আছে।
সারারাত সুন্দরী বাছি
ভাসানের নিরীক্ষা করি
সমুদ্রের সাথে যৌথভাবে...

নিরীক্ষার উপকরণ :
১। উড়ুক্কু মাছের সাহস
২। চাতকের প্রতীক্ষা
৩। শঙ্খের নরম অংশ
৪। মিহি করে গুঁড়ো করা মায়াকোকেন
৫। অতিদাহ্য বিরহ

নিরীক্ষার পদ্ধতি :
প্রথমে বাছাই করা সুন্দরীর দিকে অসম সাহসে তাকাই। এমন, যাতে তাদের স্তনের ফাঁক দিয়ে গিয়ে আমার দৃষ্টি নরম হৃদয়ে তাক লাগায়। কিংবা, বাঘের সামনে পড়ে যাওয়া হরিণের মত হয়ে যায়। তারপর একটা পুরনো গাছের গুঁড়ির ওপরে বসে থাকি। নতুন একটা মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করি— যে মানুষকে এ পৃথিবী দেখেনি কোনোদিন। যা-কিছু নরম, যা-কিছু স্পর্শকাতর তা দিয়ে সুন্দরীকে তাপ দিতে থাকি। তার লাজুক নাসারন্ধ্রপথে শরীরে ঢুকিয়ে দিই
মায়াকোকেন

এবার তার হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগিয়ে তুলি। তারপর তার শরীরে জ্যোৎস্না দিয়ে তৈরি মাখন লেপে সমুদ্রের কাছে দিয়ে আসি

পরদিন ঊষাকালে
সমুদ্র সে মেয়েটিকে তুলে সূর্যকে দেখায়...

আমি একজন চার্লস, চার্লস শোভরাজ
ছনবনে থাকি
যার শত মাইলের মধ্যে সমুদ্র থাকে না



 ২১ এপ্রিল, ২০১৬

এই যে ডগমগ রোদ,
এই যে মেঘেদের সংসার,
এই যে ফুলটি, এই যে শুয়ে আছে বেড়াল,
এই যে পুরনো চটি, ভুল অবসাদ —
সবই সত্য— সামান্য মিথ্যা মাখানো।

এই যে জন্মান্ধ পথে পথে ফেরি করে গান,
এই যে আকাশের দিকে কে যেন
উড়িয়ে দিল সন্তাপ, এই যে আমাকে
একা পেয়ে বারবার কে যেন চাকু মেরে যাচ্ছে বুকে —
সবই মিথ্যা — সামান্য সত্য মাখানো।









 ২২ এপ্রিল ২০১৬

ওই যে সূর্যাস্ত হচ্ছে, আসলে দিগন্তে
উদিত হচ্ছেন আমির খসরু।
পাড়ার প্রাচীন বৃক্ষ
বিস্তার করছে গজলাঙ্গের ছায়া।
সে ছায়ায় বসে আমাদের পূর্বপুরুষেরা

পরস্পরের বুকের সুরা পান করে গেছেন
এখনো কোনো কোনো সুরবিদ্ধ মানুষ
হাহাকারে স্নান সেরে এসে এইখানে বসেন...

তাদের ফেলে যাওয়া টুংটাং শোনেন

No comments

Powered by Blogger.